শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর

জানাজায় লাখো মানুষ, গ্রামবাসীর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন

তরফ নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বেড়তলা গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষকে ১৪ দিন ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা যুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজার নামাজে লাখো মানুষের অংশ নেয়ার ঘটনায় এ নির্দেশ দেয়া হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মো. মুসা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

এদিন সকাল ১০টায় বেড়তলা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা মাঠে দেশবরেণ্য আলেম যুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মাঠে জায়গা না হওয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্তত দুই কিলোমিটার অংশে মানুষ জানাজার নামাজ পড়েন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় লকডাউন চলছে। কিন্তু লকডাউন না মেনে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ফলে করোনাভাইরাস বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

অবশ্য এর আগে প্রশাসন বলেছে, ‘ধর্মীয় নেতারা আশ্বস্ত করেছিলেন সীমিত পরিসরেই জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় জনস্রোতে পরিণত হওয়ার বিষয়টি আঁচ করতে পারেনি পুলিশ।

ইউএনও আবু সালেহ মো. মুসা বলেন, বেড়তলা এবং আশপাশের গ্রামগুলোতে আমরা মাইকিং করে বলে দিয়েছি কেউ যেন ঘর থেকে বের না হয়। আগামী ১৪-১৫ দিন তারা যেন এই কোয়ারেন্টাইন মেনে চলে। স্থানীয় মেম্বারের নেতৃত্বে যুবসমাজের ব্যক্তিদের দিয়ে আমরা কমিটি গঠন করে দিচ্ছি- তারা যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন। তাদের সুরক্ষার জন্য একান্তই হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বের না হয়। আমরা হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করে সবাইকে বলে দিয়েছি।

তিনি বলেন, যেহেতু অনেক মানুষ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এখানে (বেড়তলা) ছিল- এই এলাকার মানুষগুলো যেন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে নিজেদের এড়িয়ে চলতে পারেন সেজন্য আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি।

উল্লেখ্য, সিভিল সার্জনের তথ্যমতে শনিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন দুইজন। বাকিরা আইসোলেশনে রয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com